Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ (পুনঃ আমদানিকৃত পণ্য ওয়ারেন্টিতে ফেরত পাঠানো ও দেশে নিয়ে আসার শুল্ক কর-২০২৩)

 বিদেশ থেকে কোন আমদানিকারক ১০০ পিছ আইফোন আমদানি করলেন। ফোনগুলো হাতে পাওয়ার পর আমদানিকারক দেখলেন তার মধ্যে ৩০ পিছ ত্রুটি পূর্ণ , এখন তিনি বিদেশ থেকে উক্ত মোবাইল ফোনগুলো মেরামত করে আনবেন। এ ক্ষেত্রে আইনের বিধান কি সেটা আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো।

(উপরের বিষয়টি শুধুমাত্র বিষয়টি ‍উপস্থাপনের জন্য ব্যবহার করেছি)
****** মূ্ল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২, ধারা-২৯********
পনুঃ আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নির্ধারণঃ-
পণ্য রপ্তানির পর উহা পুনঃ আমদানি করিবার ক্ষেত্রে যদি পণ্যটির আকৃতি, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও গুণগতমান অপরিবর্তিত থাকে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের মেরামতের পর যে পরিমাণ মূল্য বর্ধিত হয় উহার সহিত বীমা, ভাড়া, ল্যান্ডিং চার্জ যোগ করিয়া [ শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করিতে হইবে, যাহা মূসক আরোপের ভিত্তি মূল্য হবে]।
****** এখন আমরা বিষটি নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
এখানে রাপ্তানি ও পুনঃ আমদানি দুটি বিষয় আমাদের জানা প্রয়োজন। রপ্তানি বলতে আমরা বুঝি দেশের বাহিরে কোন পণ্য বা বৈদেশিক মূল্য কোন পণ্য সরবরাহ। (অনেক সময় দেশের ভিতরেও পণ্য রপ্তানি হয়, সে বিষয় নিয়ে আমরা অন্য দিন জানবো)
**** পুনঃ আমদানি বলতে বুঝায় কোন পণ্য বিদেশে রপ্তানির পর আবার ফেরত নিয়ে আসা।
****** এই পণ্য পাঠানেো ও ফেরত নিয়ে আসার জন্য কিছু বিধি বিধান পরিপালন করতে হয়।
এখন মূল আলোচনায় ফিরি। অনেক সময় কোন পণ্য মেরামত করার জন্য বিদেশ প্রেরণ করা হয়। মেরামত শেষে আবার পণ্যটি ফেরত আনা হয়। বিদেশ পাঠানোর কাজটি রপ্তানির আওতায় পড়ে আর ফেরত আনার কাজটি পুনঃ আমদানির আওতায় পড়ে।
************যেমনঃ- অনেক সময় কোন মেশিনারীতে ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। এরূপভাবে রপ্তানিকৃত পণ্য ফিরিয়ে আনা বা পুনঃ আমদানির সময় শুল্কায়নের প্রশ্ন আসে। যদি মেরামতের ফলে পণ্যটি যেভাবে পাঠানো হয়েছিলো অর্থ্যাৎ কোন যন্ত্রপাতি লাগানোর প্রয়োজন হয়নি (হাত লাগানো সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাওয়ার মত) তাহলে শুধু মাত্র মেরামতের জন্য যে চার্জ বা ব্যয় হবে উক্ত ব্যয়, বীমা, ভাড়া ও ১ শতাংশ ল্যান্ডিং চার্জ যুক্ত করার পর যে মূল্য হবে সে মূল্যেই হবে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য। শুল্কায়নযোগ্য মূল্যোর উপর নিয়ম অনুযায়ী শুল্ককর আরোপিত হবে।****** যদি উল্লেখিত বিষয়ের বিপরীত হয় অর্থ্যাৎ কোন পার্টস যদি সংযোজন করার প্রয়োজন হয় তাহলে সকল নিয়ম পরিবর্তন হয়ে যাবে।

**** মেরামতের পর যদি পণ্যটির আকৃতি, প্রকৃতি বৈশিষ্ট্য বা গুণাগত মান পরিবর্তন হয়ে যায় অর্থ্যা পণ্যটি যদি অন্য কোন সামঞ্জস্যপূর্ণ নামকরণ কোড (এইচ. এস কোড) এর আওতায় শ্রেনিবিন্যাসিত হয় তাহলে পণ্যটির স্বাভাবিকভাবে শুল্কায়িত করতে হবে। যেন পণ্যটি স্বাভাবিকভাবে আমদানিকৃত পণ্য।
এখানে আরও একটি বিষয় আমরা জেনে নিই। এখানে নামকরণ কোড নামে একটি বিষয় এসেছে। প্রতিটি পণ্যের একটি এইচ এস কোড থাকে যা আমরা কম বেশি সবাই অবগত আছি।
Harmonized Commodity Description and Coding System সংক্ষেপে H.S system হলো কোন একটি পণ্য একটি কোড এবং একটি বর্ণনা দিয়ে সারা পৃথিবীতে একইভাবে সনাক্ত করার পদ্ধতি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এভাবে পণ্য সনাক্তকরনের প্রয়োজন হয়। সারা বিশ্বে প্রায় ৯৮ শতাংশ বাণিজ্য এই সিস্টেম অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। আমাদের দেশে ৮ ডিজিট এর এইচ এস কোড ব্যবহার করা হয়। কোন কোন দেশে ৬ বা ১০ ডিজিটও ব্যবহার করে থাকে।
পোস্ট ট্যাগঃ পুনঃ আমাদানি, রপ্তানি, ভ্যাট বিডি, ভ্যাট বাংলাদেশ, মূসক, কাস্টমস, সম্পূরক শুল্ক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement