Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

কিস্তিতে পণ্য বিক্রয়-২০২৩ ভ্যাট আইন-২০১২

  বর্তমান সময়ে ডাউন পেমেন্ট বা কিস্তিতে প্রচুর পরিমাণ পণ্য বিক্রয় হচ্ছে। বিশেষকরে এই কিস্তি পদ্ধতিটি মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেণির নিকট খুবই জনপ্রিয়। আমরা আজ জানবো, কিস্তিতে পণ্য সরবরাহ করা হলে ভ্যাট আইনে তার এ্যাকাউন্টিং ট্রিটমেন্ট কি হয়। আমরা অনেকে হয়তো বিষয়টি জানি আবার অনেকে জানিনা। তাহলে চলুন গল্পের মাধ্যমে কিস্তিতে পণ্য সরবরাহ এর ভ্যাটের নিময় জেনে নেওয়া যাক।

  ** নিলুফা সমান্য বেতনে চাকুরি করেন। চাকুরি করার কারণে তার নিয়মিত বাজার করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে চিন্তা করলো একটি ফ্রীজ ক্রয় করা খুবই জরুরি। কিন্তু ফ্রীজ ক্রয় করার মত পুঁজি তার নিকট নাই এই ভেবে সে দুঃখ পেলো। পরদিন ডিউটিতে যাওয়ার সময় সে দেখতে পেলো একটি ফ্রীজের শো-রুম (যখন কোন জিনিস ক্রয় করার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায় তখন সব জায়গায় সেটাই চোখে পড়ে) এবং শো-রুমের সামনে ব্যানার টানানো কিস্তিতে ফ্রীজ বিক্রয় করা হয়। নিলুফা সে দিন অফিস থেকে ফিরে রাতে ঘুমানোর সময় চিন্তা করলো কাল শো-রুমে যাবে এবং চুক্তি করবে কত টাকা কিস্তি দেওয়া লাগবে। পরদিন সে শো-রুমে গিয়ে বিক্রয়কর্মীর সাথে বিস্তারিত কথা বলে জানতে পারলো একটি ফ্রীজ ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে এবং ১০ টি সমান কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। মানে প্রতি কিস্তিতে ৩০০০ টাকা। নিলুফা খুবই খুশি হলো এবং ফ্রীজ ক্রয় করে প্রথম মাসের কিস্তির টাকা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসলেন। 
  নিলুফা বেগমতো ভ্যাট কি বুঝে না বা তার ভ্যাট নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নাই কিন্তু আমরা যারা ভ্যাট নিয়ে কাজ করি আমাদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে। এই যে একটি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে এটার ভ্যাট আইন অনুযায়ী সমাধান কি হবে??


মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা-৪১ অনুযায়ী আমরা এটি সমাধান করতে পারি।
চলুন সমাধান জেনে নেওয়া যাক। ধারা-৪১ অনুযায়ী, যখন যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ হয় তখন সে পরিমাণ অর্থ থেকে ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়। প্রতি করমেয়াদে যে পরিমাণ কিস্তির অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, সে পরিমাণ অর্থ থেকে কর ভগ্নাংশ পৃথক করে নিতে হবে। এই কর ভগ্নাংশ হবে ঐ কর মেয়াদে কিস্তির বিপরীতে প্রদেয় ভ্যাট। প্রতি কিস্তি মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে পৃথক ভ্যাট চালান ইস্যু করতে হবে।
এখন আমরা উদাহরণের তথ্য অনুযায়ী আইনের প্রয়োগ দেখি। প্রথম কিস্তিতে নিলুফা টাকা পরিশোধ করেছে ৩০০০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিস্তিতে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ হবে ঐ পরিমাণ অর্থের উপর কর ভগ্নাংশ অনুযায়ী ভ্যাট প্রদেয় হবে অর্থ্যৎ এখানে প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ হবে- ৩০০০*১৫/১১৫= ৩৯১.৩০ টাকা। এখানে পণ ৩০০০ টাকা। এবং সরবরাহ মূল্য (৩০০০-৩৯১.৩০)=২৬০৮.৭০ টাকা। 
এখানে সরবরাহকারী মূসক ৬.৩ ইস্যু করবেন ৩০০০টাকার এবং সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদে ৩৯১.৩০ টাকার প্রদেয় কর পরিশোধ করা। 
এভাবে প্রতি কিস্তিতে একই হিসাব অনুযায়ী ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement