Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

বিক্রিত বা ক্রয়কৃত মালামাল/ সরবরাহ যদি ফেরত আসে তাহলে করণীয় কি? (What is the procedure of cancelation of provide after supply)

          আজ আমরা ভ্যাটের খুবই সহজ একটি ধারা অথচ অনেকের নিকট খুবই জটিল একটি বিষয় যা জানার চেষ্টা করবো। আমরা দুইটি ঘটনার মাধ্যমে বিষয়টি পুরোপুরি স্বচ্ছ একটি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবো। তার আগে একটু জানিয়ে রাখি আমার এই লেখাটি তাদের জন্য যারা পণ্য ফেরত আসলে ইস্যুকৃত মূসক-৬.৩ চালান কি করবে বুঝতে পারেন না মূলত তাদের জন্য। আশা করি সকলে বিষটি জানলে উপকৃত হবেন।

 ঘটনা-০১ঃ 

আপনি ১৫,০০০ টাকায় একটি সরবরাহ করলেন সাথে মূসক ৬.৩ ও ইস্যু করলেন। দুই (০২) দিন পর পণ্য ফেরত আসলো। ইতিমধ্যে আপনি সরবরাহকৃত পণ্যের মূল্যও পেয়ে গিয়েছেন। সরবরাহ ফেরত আসার পর আপনি সম্পূর্ণ টাকা ফেরত না দিয়ে ৫০০০ টাকা কেটে রেখে বাকি টাকা ফেরত দিলেন। 

ঘটনা-০২ঃ 

আপনি ১৫,০০০ টাকার সরবরাহ প্রদান করেছেন সাথে মূসক ৬.৩ ইস্যু করেছেন। সরবরাহ মূল্য চাওয়ার পরে ক্রেতা পণ্য গুলো কোয়ালিটি ইস্যু দেখিয়ে বাতিল করে দিলো এবং সাথে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫,০০০ টাকা প্রদান করলো।

আপনারা কি এই দুইটি ঘটনার মধ্যে কোন মিল বা অমিল দেখতে পেয়েছেন। আমি ধরে নিলাম আপনার উল্লেখিত ঘটনা দুটির মিল অমিল খুঁজে পেয়েছেন।

এখন আসুন আমরা মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন এর ধারা-৪২ অনুযায়ী বিষটি সমাধান করার চেষ্টা করি।  



 ধারা-৪২ঃ বাতিলকৃত লেনদেন-

 উপ-ধারা-(১)-

যদি কোন সরবরাহের লেনদেন বাতিল হয় এবং সরবরাহকারী পূর্বে গৃহীত পণ ফেরত প্রদানকালে উহার অংশ বিশেষ রাখিয় দেয়, তাহা হইলে উক্ত বাতিলকরণের কারণে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে পণ্যের যে অংশ রাখিয়া দেওয়া হয় উহার উপর প্রযোজ্য কর সমন্বয় করা হইবে।

উপধারা-(২)-

যদি কোন সরবরাহের লেনদেন বাতিল হয় এবং উক্ত বাতিলের ফলশ্রæতিতে সরবরাহকারী গ্রহীতার নিকট হতে কোন অর্থ আদায় কওে, তাহা হইলে যেই কর মেয়াদে উহা আদায় করা হয় সেই কর মেয়াদে উক্ত আদায়কৃত অর্থ সরবরাহের পণ হিসাবে গণ্য হইবে এবং কর প্রদেয় হইবে।

আমরা আইনে কি বলা হয়েছে তা জানলাম। এখন আমরা আইনের সাথে উপরে উল্লেখিত ঘটনা দুটি বিশ্লেষনের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবো।

আরও পড়ুনঃ https://vatfriend.blogspot.com/2023/02/debit-note-credit-note.html

ঘটনা-০১ বিশ্লেষণঃ

আপনি ১৫,০০০ টাকায় একটি সরবরাহ করলেন সাথে মূসক ৬.৩ ও ইস্যু করলেন। দুই (০২) দিন পর পণ্য ফেরত আসলো। ইতিমধ্যে আপনি সরবরাহকৃত পণ্যের মূল্যও পেয়ে গিয়েছেন। সরবরাহ ফেরত আসার পর আপনি সম্পূর্ণ টাকা ফেরত না দিয়ে ৫০০০ টাকা কেটে রেখে বাকি টাকা ফেরত দিলেন। 

এখানে, ১৫,০০০ টাকা আপনার পণ। যদি সরবরাহ ফেরত না আসতো তাহলে আপনার প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ হতো- ১৫,০০০*১৫/১১৫= ১৯৫৬.৫২ টাকা। উক্ত টাকা আপনাকে সরকারকে প্রদান করতে হবে। যেহেতু সরবরাহটি ফেরত এসেছে তাই আপনি যে টাকা কেটে রেখেছেন অর্থ্যাৎ ৫০০০ টাকাকে পণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং এখানে আপনার প্রদেয় হবে-৫০০০*১৫/১১৫=৬৫২.১৭ টাকা। সরবারহ প্রদানকারী এই টাকা প্রদান করবেন এবং সরবরাহ গ্রহীতা উক্ত টাকা রেয়াত গ্রহণ করবেন।

আশা করি আপনারা ঘটনা-০২ এর সমাধান বুঝতে পেরেছেন। ঘটনা-০১ এর মত একইভাবে সমাধান করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে পরিমাণ অর্থ বিলের বিপরীতে আদায় করবেন ঐ পরিমাণ টাকার উপর কর-ভগ্নাংশ অনুযায়ী প্রদেয় হবে।

[অনেকে চালান ইস্যু করার পর যদি সরবরাহ ফেরত আসে সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন তাদের জন্য এই লেখা। আর একটি বিষয় হলো অনেকে মনে করতে পারেন যে যদি কোন টাকায় না পাওয়া যায় কিন্তু সরবরাহ ফেরত এসেছে সে ক্ষেত্রে করণীয় কি? দেখেন যদি টাকা কিছু পরিমাণ পাওয়া যায় তাহলে প্রদেয় হবে ঐ টাকার উপর তাহলে যদি কোন টাকায় না পাওয়া যায় তাহলে ইস্যুকৃত চালানটি ফেরত এনে বইতে রেখে দিবেন।]


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code

Responsive Advertisement